ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

শপথ নিলেন নবনির্বাচিত এমপি জাফর, আশেক, কমল ও শাহিন

 ইমাম খাইর, কক্সবাজার ::
এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার চারটি আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা।
তারা হলেন- কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) জাফর আলম বিএ (অনার্স) এমএ, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) সাইমুম সরওয়ার কমল এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) শাহীন আকতার।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। শেরে বাংলা নগরে সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথ কক্ষে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও শপথ নেন।
শপথ অনুষ্ঠানের আগে থেকেই নতুন সংসদ সদস্য এবং তাদের সমর্থকরা সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছেন।
শপথ অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই নিজের শপথ নেন। পরে একযোগে সবাইকে শপথ পাঠ করান তিনি।

জেলার নবনির্বাচিত এমপিদের মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) জাফর আলম ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮ শত ৫৬, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আশেক উল্লাহ রফিক ২ লাখ ১৩ হাজার ৯১, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) সাইমুম সরওয়ার কমল ২ লাখ ৫৩ হাজার ৮২৫ এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে শাহীন আকতার চৌধুরী ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৪ ভোট পান।

সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্লাহ রফিক বিগত দশম জাতীয় সংসদের এমপি ছিলেন।
বাকী দুই জনের মধ্যে জাফর আলমের আসনে স্বাধীনতার পর সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়।
শাহীন আকতার জেলার ইতিহাসে একমাত্র নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্য।

এর আগে বুধবার (২ জানুয়ারি) সংসদ সচিবালয়ের উপ-সচিব মর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট জাতীয় সংসদে পৌঁছায়। এটি ১ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত। গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে স্পিকারকে শপথ পড়াতে হয়। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী একাদশ সংসদে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি আগে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। পরে নির্বাচিত অন্যদের শপথ পড়ান। শপথ শেষে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা বৈঠক করে নিজেদের সংসদ নেতা নির্বাচন করবেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ২২টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ৫টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ২টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি, গণফোরাম ২টি, জাতীয় পার্টি-জেপি ১টি এবং তরিকত ফেডারেশন ১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে ৩ জন স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

 

পাঠকের মতামত: